মানুষ সৃষ্টির রহস্য কি? মানব জাতি সৃষ্টির ইতিহাস

মানুষ সৃষ্টির রহস্য কি? মানব জাতি সৃষ্টির ইতিহাস

 

”আমি কোথা থেকে এলাম” এ প্রশ্ন মানুষের মনে আজকের নয় বরং হাজার হাজার বছরের। এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে যে ধারণা গড়ে উঠেছিল তা ধর্মীয় শিক্ষা আর দার্শনিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ কেন্দ্র করে। এই সব কিছুই বিশ্বাস ও ধারণা প্রসূত। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মানুষ এমন এক ভিত্তিতে রয়েছে যা যুক্তিতর্ক ও পরিসংখ্যানের উপর দন্ডা্য়মান। মানুষের অনুসন্ধানী মন যে নিজের আদি সম্পর্কে জানতে কতটা তৎপর সেটা ডারউইনের ‘অন দ্য অরিজিন অব স্পেসিস’ গ্রন্থের জনপ্রিয়তা দেখেই বোঝা যায়।

মানব জাতি সৃষ্টির ইতিহাস

মানুষের ইতিহাস বা মানব সভ্যতার বিকাশের ইতিহাস এমন একটা বিষয় যা প্রতিটা মানুষের পক্ষে জানা বিশেষভাবে আবশ্যক। ইতিহাস-জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না। বিশুদ্ধ বা বিমূর্ত জ্ঞান লাভের প্রয়োজনে মাত্র নয় সমসাময়িক বিশ্বে নিজের এবং স্বদেশের অবস্থান জানার জন্য, স্বদেশ বা সংস্কৃতির বিকাশ সাধনের যোগ্যতা অর্জনের জন্য মানুষের ইতিহাস অধ্যয়ন করা আবশ্যক।

উন্নত দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল জীবনেই পৃথিবীর ইতিহাস পাঠ করে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে শিক্ষালাভের কোন পর্যায়েই মানব জাতির ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য নয়। যেহেতু আমরা বাঙালি আর আমাদের অধিকাংশ মানুষ মুসলমান তাই মানব জাতির সৃষ্টির ইতিহাস বৈজ্ঞানিক কথার সাথে ধর্মীয় কিছু কথা জানানোর চেষ্টা করবো।

মানব সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক মতবাদ

ইতিহাস বানরের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল। ফলে মানবজাতির ইতিহাস নিয়ে চিন্তা করলে প্রাচীনকালে গুহায় বসবাসের আঁকানো নানান প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠে আমাদের মনে। মানব প্রজন্মের অভ্যুদয় নিয়ে কোন তথ্য প্রমাণ না থাকায় বিজ্ঞান মহাবিশ্ব সৃষ্টির ধারায় প্রাণী জগতের উন্মেষ এবং তা থেকে কালক্রমে মানব প্রজাতি সৃষ্টির চিন্তাধারা নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিবর্তনের দিকে নিবিষ্ট হয়। ক্রমান্বয়ে বিবর্তনের ফসল হিসেবে মানব জাতির উন্মেষ ঘটেছে এবং এই মর্মে রায় দেয়। পরিবর্তন প্রকৃতিতে সৃষ্টিকর্মের একটি ধারা।

এই পরিবর্তন বা রূপান্তরকে বাদ দিলে প্রকৃতিকে সৃষ্টি বৈচিত্র্য ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। প্রাণীদেহে কোন রূপান্তর আসে না। রূপান্তরের প্রথম প্রক্রিয়াটাই শুরু হয় মাতৃ গর্ভে। শুক্রাণু ও ডিম্বাণু থেকে সৃষ্ট একটি মাত্র কোষ রূপান্তরিত হয়ে নানা প্রকার কোষের সৃষ্টি হয়। যারা মানব দেহের পূর্ণাঙ্গতা দেয়। বিজ্ঞান বলছে এই রূপান্তরের সকল প্রক্রিয়া ঐ প্রথম কোষটির ডি এন এ লেখা থাকে বলেই এমনটা হয়।

আমরা জানি এই বিকাশমান পদ্ধতিতে সৃষ্টির আদি থেকেই প্রাণীর দেহে গঠিত হয়ে আসছে। প্রতিটা প্রাণীর দেহ কাঠামো এই পদ্ধতিতেই সুগঠিত হয়। পরিবেশের প্রয়োজনে প্রাণীর চাহিদা অনুযায়ী জীবন যাত্রার সাথে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে প্রাণী দেহে যে পরিবর্তন আসে তাকেই রূপান্তর বলে। মানব প্রজন্মের অভ্যুদয় নিয়ে নানা মনিষী নানাভাবে ভেবে থাকলেও পর্যটক ডারউইন তার বিবর্তনবাদের আলোকে মানব জাতির অভ্যুদয়ের পূর্ব পুরুষ হিসেবে বানরকে চিহ্নিত করেছে।

বিষয়টি ডারউইন তত্ত্ব সম্পর্কে সারা মানব সমাজে সবচেয়ে বেশী বিতর্কের ঝড় তুলেছে। বানব ও আধুনিক মানুষের মধ্যে একটা সমন্বয় থাকলেও রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। এই ব্যবধান অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের চেয়ে মেধাগত দিকে সবচেয়ে বেশী। বিজ্ঞান বলছে বানর থেকে রূপান্তরিত হয়ে মানুষ চারটি ধাপে উন্নীত হয়ে আধুনিক মানবে পরিণত হয়েছে।

১। অস্ট্রালোপিথেকাস (Australopithecus)

২। পিথেকেনথ্রোপাইন (Pithecanthropines)

৩। নিন্দারথেলাস (Neanderthals)

৪। হোমো সেপিয়েন (Homo Sapiens)

বিজ্ঞানের মতে এই চার ধাপে মানুষের বিবর্তন ঘটে। বিজ্ঞান আরও বলছে অস্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাই হল বানর ও মানুষের মধ্যবর্তী প্রজাতি। অর্থাৎ বানর এই প্রজাতিটির মাধ্যমে মানুষের রূপান্তরিত হয়েছে। ডারউইন তত্ত্বে বিশ্বাসী বিজ্ঞানীগণ এই ধারা প্রবাহে নিঃসঙ্কোচে মনে করেন বানরই মানুষের পূর্বপুরুষ। বানর ও মানুষের এই মধ্যবর্তী প্রজাতিগুলো বেঁচে না থাকলেও তাদের ফসিল থেকে এই শ্রেণী বিন্যাস করা হয়েছে।

বিজ্ঞানের এই শ্রেণীবিন্যাসের উপর শতভাগ নির্ভর করার সুযোগ নেই। কারণ এই শ্রেণীবিন্যাসের পরিক্ষিত কোনো প্রমাণ নেই। আমরা যদি ধরে নেই ৪০ লক্ষ বছর আগে একদল বানর প্রাকৃতিক নির্বচনের মাধ্যমে অষ্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এর পরবর্তীতে আর কোনো বানর বিবর্তনের ধারায় পড়লনা কেনো? সময়ের এতো বড় পরিসরেও কেনো কোনো নতুন প্রজাতির অভ্যুদয় হলো না কেনো? এই প্রশ্নগুলোর জবাব বিজ্ঞানের কাছে নেই।

পবিত্র কোরআন অবশ্য কিছু মৌলিক ধারণা দিয়েছে। কোরআন বলছে, মহান আল্লাহ মানব জাতির প্রথম পুরুষকে আলাদা ভাবেই সৃষ্টি করেছেন। অন্য কোনো প্রজাতির বংশধর নয়। আমরা নীচে পবিত্র কোরআনের আলোকে মানব সৃষ্টির ইতিহাস আলোচনা করবো-

মানব সৃষ্টির ইসলামিক মতবাদ

পবিত্র কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী এ মহাবিশ্বে সর্বপ্রথম আল্লাহই প্রাণের সৃষ্টি করেছেন। কোরআন, বাইবেল, বিজ্ঞান সবখানেই এটা স্বীকৃত যে, পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টির পরে শেষ ধাপে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। বাইবেলের মতো মানব সৃষ্টির ধারাবাহিক কোনো কাহিনী কোরআনে নেই। যদিও মুসলমানদের মধ্যে বাইবেলের কাহিনীটিই ঘুরে ফিরে প্রচারনা পেয়ে আসছে। পবিত্র কোরআনে আদম সৃষ্টির বেশ কিছু আয়াত আছে। তবে মানব সৃষ্টির উপাদান হিসাবে পানি ও মাটির কথা যেমন বলা হয়েছে তেমনি বীর্য ও পর্যায়ক্রমিকতার কথাও বলা হয়েছে। সূরা নূহ-এ বলা হয়েছে-

আর তিনি তোমাদেরকে মাটি হতে এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করেছেন। (সূরা-নূহ:১৭)

পবিত্র কোরআনের দৃষ্টিতে মানব সৃষ্টি এক অনন্য সৃষ্টি। আল্লাহ মানব সৃষ্টির সাথে সাথে শয়তান সৃষ্টির কথাও বলেছেন। আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন তারই ইবাদত বন্দেগী করার জন্য। ইবাদত আল্লাহ ও মানুষের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনে। এতে করে মানুষ মানুষের উপর হুকুমত করতে পারে না। পবিত্র কোরআনে মানুষ সৃষ্টির কারণ ও প্রণালী বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আদম (আ:) সৃষ্টি করেছেন মাটি দিয়ে।

মানব সৃষ্টির মূল উপাদান মাটি, পানি আর বীর্য থেকে। আর শয়তানের সৃষ্টি আগুন থেকে। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা বোঝালেন শয়তান যদিও শক্তিশালী তথাপি মানবের মর্যাদা অনেক বেশী। শয়তান আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছে। যারা শয়তানের অনুসারী হবে তারা পরকালে শাস্তি ভোগ করবে। আল্লাহর সৃ্ষ্ট মানবও ভুল করেছে, আদেশ অমান্য করেছে। পৃথিবীতে মানুষের আগমন ঘটেছে। আর এই পৃথিবীই হলো মানুষের জন্য পরীক্ষাগার।

মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির পূর্বে দুনিয়ায় বসবাসরত নাফরমান জ্বীনদের ফেরেস্তা কর্তৃক বিতাড়িত করলেন। যারা দুনিয়ায় আল্লাহর নাফরমানি করে দাঙ্গা-মারামারি, ফিতনা-ফাসাদে লিপ্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের ডেকে বললেন- “আমি পৃথিবীতে খলিফা বানাতে যাচ্ছি।” এটা শুনে ফেরেস্তারা বললেন- ”আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যারা দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করবে এবং মারামারি করবে? অথচ আমরা নিয়মিত আপনার গুণকীর্তন করছি এবং আপনার পবিত্র সত্ত্বাকে স্মরণ করছি।” আল্লাহ তায়ালা বললেন- “নিঃসন্দেহে আমি যা জানি তোমরা তা জানো না।”

অতঃপর আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আঃ) সৃষ্টি করলেন এবং পরবর্তীতে হযরত হাওয়া (আঃ) সৃষ্টি করলেন। আদিপিতা হযরত আদম (আঃ) নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণের কারণে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক জান্নাত থেকে বিতাড়িত হন এবং প্রথম পৃথিবীতে আসেন। আর তখন থেকেই মানুষের বংশ বিস্তার হতে থাকে।

মানব জাতির বিবর্তন বিশ্লেষন

মানুষ বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী জীব। বিবর্তন হচ্ছে একটি জীব-বৈজ্ঞানিক ধারণা যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে জীবরে গাঠনিক এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ক্রমপরিবর্তনকে বুঝায়। কোনো জীবের বংশধরদের মাঝে যে জিনরাশি ছড়িয়ে পড়ে তারাই বংশপ্রবাহে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে।

জিনের পরিব্যক্তির মাধ্যমে জীবের নির্দিষ্ট কোনো বংশধরে নতুন বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হতে পারে বা পুরনো বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে। যদিও একটি প্রজন্মে জীবের বৈশিষ্ট্যের যে পরিবর্তন সাধিত হয় তা খুবই সামান্য। বিবর্তনের ভিত্তি হচ্ছে বংশপরম্পরায় জিনের সঞ্চারণ। যা একটি জীবের বংশগতভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য দায়ী তাই জিন।বিবর্তন মূলত দুটি বিপরীত নিয়ামকের ফল।

একটি প্রক্রিয়ায় ক্রমাগতভাবে নতুন প্রকরণ সৃষ্টি হয়। আর অন্যটির প্রভাবে এই প্রকরণগুলো কোনো কোনটি সংখ্যা হ্রাস বা বৃদ্ধি পায়। নতুন প্রকরণ উৎপন্ন হয় দুটি প্রধান উপায়ে। প্রথমত জিনগত মিউটেশন মাধ্যমে এবং দ্বিতীয়ত বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে জিনের স্থানান্তরের মাধ্যমে।

বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে বিবর্তন সংঘটিত হয়। আবার বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিবর্তনকে ব্যাখ্যাকারী তত্ত্বগুলোকে তারা যাচাই করে দেখেছেন যে সেগুলোর উন্নয়ন সাধন করেছেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন। তবে বিবর্তন সংঘটিত হওয়ার প্রক্রিয়াটি অস্পষ্ট বা বলতে গেলে অজানাই রয়ে যায় যতদিন না চার্লস ডারউইন এবং আলফ্রেড রাসেল পৃথক পৃথকভাবে তাদের প্রাকৃতি নির্বাচন তত্ত্ব উপস্থাপন করলেন।

FAQS-

# মানব সৃষ্টি রহস্য কি?

=>মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সে আল্লাহ তাআলাকে বিশ্বলােকের স্রষ্টারূপে চিনবে, জানবে এবং সমগ্র জীবনব্যাপী দাসত্ব করবে। সে এখানে আল্লাহর খিলাফাতের দায়িত্ব পালন করবে।মহান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে মানব সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি জগতে সবকিছু মানুষের অধীনে করে দিয়েছেন। আর মানুষকে নিজের বান্দা ও খলিফা হিসেবে ঘােষণা দিয়ে নিজের সাথে সম্পর্কিত করেছেন।

# মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?

=>মানুষ সৃষ্টি উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ তায়ালার ইবাদত বন্দেগী করা। আর ইবাদত হলো আল্লাহ এবং রাসূলের নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনা করা। আল্লাহর নির্দেশিত পথে জীবন পরিচালনাই হলো মানব সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য।

# আনুমানিক কত বছর আগে মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল?

=>প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে মানুষ সৃষ্টি হয়েছিল।

শেষ কথা

আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে গবেষণা করার অনুমতি আছে। আমাদের সবার উচিত আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি গভীর দৃষ্টিপাত করে মহত্ত্ব ঘোষণা করা। ”তিনিই তোমাদেরকে মাটির দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।” আশাকরি এখন বিষয়টা আপনাদের কাছে পরিষ্কার। মহান আল্লাহ তায়ালা মাটি দ্বারা মানুষকে সরাসরি অস্তিত্বে এনেছেন। তাই যারা ব্যাখ্যার সুযোগকে সামনে রেখে জগাখিচুড়ি পাকাতে চায় তাদের এখনই সাবধান হওয়া উচিত।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন- “আমি সৃষ্টি করেছে মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে।” আল্লাহ যেখানে মানুষকে সরাসরি সৃষ্টির কথা বলেছেন সেখানে কোনোরূপ ছলচাতুরী গ্রহণযোগ্য নয়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন। (আমিন)

# লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত # নামাজ না পড়ার শাস্তি। নামাজের গুরুত্ব এবং ফযীলত

Related posts

One Thought to “মানুষ সৃষ্টির রহস্য কি? মানব জাতি সৃষ্টির ইতিহাস”

  1. […] মানুষ সৃষ্টির রহস্য কি? মানব জাতি সৃষ্… # নামাজ না পড়ার শাস্তি। নামাজের […]

Leave a Comment